পোস্টগুলি

রমজানের ভুল ধারণা ( রোজা রেখে রক্তদান প্রসঙ্গে )

ছবি
রমজানের ভুল ধারণা - ১   [রোজা রেখে রক্তদান প্রসঙ্গে] রমজানের সময় মুসলিম নারী-পুরুষ সকলেই চায় আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন। একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করে তাদের চলা-ফেরা, আচার-ব্যবহার সহ জীবনের যে কোন পদক্ষেপে। সকলেরই আশা থাকে এই রহমতের মাস থেকে বাড়তি কিছু কামিয়ে নেয়া। তাই অনেক সময় অনেক স্বাভাবিক কাজের ব্যাপারেও সন্দেহ উঁকি দেয় মনে যে “রোজা রেখে এটা করা যায় কি?” তেমনই একটা সন্দেহ হচ্ছে “রোজা রেখে কি রক্তদান করা যায়?” এই নিয়ে আজকের লেখা... শুরুতেই ইসলামের একটা মৌলিক ও সাধারণ সূত্র বলি। তা হচ্ছে “যা নিষিদ্ধ, হারাম বা অবৈধ নয় তা-ই জায়েজ”। অর্থাৎ যুগের পরিক্রমায় এমন কোন ব্যাপার সামনে আসল যেটা সম্পর্কে ইসলামে সরাসরি কিছু বলা নাই আবার আপাত দৃষ্টিতে ব্যাপারটিকে মানবজাতির জন্য ক্ষতিকরও মনে হচ্ছে না তাহলে ধরে নেয়া যায় যে ব্যাপারটি জায়েজ হবে। যেমন বলতে পারি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা। যদিও এর দ্বারা ক্ষতির আশংকা আছে বা এরও খারাপ দিক আছে তবে ব্যক্তি চাইলে খারাপটাকে এড়াতে পারেন। নবী (সাঃ) এর সময়ে রক্তদানের সুযোগ বা concept ছিল না। তাই এ ব্যাপারে সরাসরি কোন কোরআন-হাদীসে...

গুজবে বাংলাদেশ!!

ছবি
গুজব আজকাল আমাদের চারিপাশে অনেক বেশি সহ্য করা লাগছে!  এর কারণ যেমন অনেক আছে! এর ক্ষতিও অনেক আছে! আসুন আজ এই গুজবের কিছু ঘটনার দিকে নজর দেই! ১।  ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ তে চাদপুরে গুজব ছড়ায় যে ডাকাত পড়েছে১ গ্রাম বাসিরা সারা রাত জেগে পাহারা দেয়!পরে দেখা যায় ব্যাপারটা গুজব!  এখানে ক্লিক করে দেখে নিন সেদিনের প্রথম আলোর রিপোর্ট। ২।   গুজব ছড়ায়ে অনেকে নিজের ফায়দা লুটতে চায়! যেমন মাওলানা সাঈদী কে চাদে দেখা গেছে বলে গুজব ছড়ানো হলো একবার! আর আজো সে কারনে সাঈদী ভক্তদের কথা শুনতে হয় অপর পক্ষের কাছে! কারই বা সার্থ বাড়লো এতে তা কে জানে! ৩। গুজব বন্ধ করতে বলে ইনজেকশন বের করেছে এক দল!! এতাও আবার গুজব কিনা কে জানে!!   লিঙ্ক এখানে । ৪। যে জন্যে এই লিখা সেটা হলো ইদানিং blue whale নামক এক গেইম নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি হচ্ছে! কেউ কেউ এই গুজব  ছড়াচ্ছেন যে ফোন অন রাখলেই গেইম একা একা ইনিস্টাল হবে, জোর করে এই গেম খেলাবে!!! এগুলা সহ আরো কত কি! আমাদের বাসার নিচ তলায় এক বাচ্চা থাকে! তার বয়স ৪ বছর বা ৫ বছর হবে! সে আজ আমাকে গেমস খেলতে দেখে  এই ঘটনা শোনাচ্ছে...

আল্লাহর সাথে কথোপকথন- পর্ব ১

ছবি
আমাদের দৈনন্দিন কিছু সমস্যার বাস্তব সমাধানঃ  ১/ আমি যখন বিষন্ন থাকি, কোরআন বলে.... "যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে।" [সুরা বাকারা: ২৫৭] ২/ আমি যখন হতাশায় থাকি, কোরআন বলে.... "আল্লাহর উপরই ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।" [সুরা মায়েদা: ২৩] ৩/ আমি যখন গুনাহ করি, কোরআন বলে.... তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে, এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না। [ সুরা ইমরান ৩:১৩৫ ] ৪/ আমি যখন ক্ষমা চাই! কোরআন বলে.... “তারা কি অবহিত নয় যে, আল্লাহ তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন! আর তিনিই সদকা গ্রহণ করেন এবং তিনি তাওবা কবুলকারী পরম দয়ালু।” [তওবাঃ৯:১০৪] ৫/ আমি যখন বিপদে পড়ি! কোরআন বলে.... "অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।" ...

তুরস্কের কে এই ফতুল্লা গুলেন??? বিস্তারিত জানতে পড়ুন।

ছবি
নি র্বাচিত এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে বারবার ক্যু প্রচেষ্টাকারী নেপথ্য ব্যাক্তি ফেতুল্লা গুলেন। কিন্তু কে তিনি? কী তার পরিচয়? তুরস্কে কেন তিনি এতটাই বিতর্কিত ভূমিকায়? জানুন সব অজানা অধ্যায়! বাংলাদেশের প্রভাবশালী শিক্ষার্থী ম্যাগাজিন ছাত্রসংবাদে প্রকাশিত ‘ ছদ্মবেশী তুরস্কের ফেতুল্লা গুলেন জানা অজানা কিছু কথা ’ লেখাটি এই ব্লগের পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করা হল আজ। বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় আমি লক্ষ্য করেছিলাম মূলত না জানার কারণে ফেতুল্লা গুলেনকে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের একজন সেবক হিসেবেই সবাই মনে করতো। এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইসলামপন্থীদের ফেতুল্লা গুলেনের পলিসির আলোকে কাজ করার পরামর্শ দিতেও শুনেছি এবং তার পক্ষে অনেকে লেখালেখিও হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে প্রাথমিক জীবনে ইসলামের কারণে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী এই ব্যক্তিই সময়ের ব্যবধানে ইহুদি এবং পশ্চিমাদের এজেন্ট হিসেবে গোটা দুনিয়ায় মুসলমানদের স্বার্থের বিপরীতে কাজ করতে এতটুকুও দ্বিধা করেনি। ফেতুল্লা গুলেন ১৯৪১ সালের ২৭ এপ্রিল তুরস্কের এরজুরুম নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি কুরআন শিক্ষা শুরু করেন। এরপর তিনি ১৯৪৬ সালে প্রাথমিক বিদ্...

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আজ কোথায়???

ছবি
খবরটি যদি সত্য হয়, তাহলে তা কত বেশী ভয়ঙ্কর এবং বিপদজনক তা বুঝার মত মাথা ঘুমিয়ে পড়া এ জাতির আছে কিনা আমি জানি না। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর চাকুরী বিজ্ঞপ্তির কথা বলছিলাম [ http://goo.gl/z0KBsI ] ভারতের সরকারী চাকরী ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে কর্মসূত্র ( http://www.karmakshetra.org/ ) নামের ওয়েবসাইটে। এর আগেভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ভারতীয় নাগরিকদের সরকার পুলিশে নিয়োগ দেয়ার কথা আমরা শুনেছি।। রিপোর্টখানা কেউ না দেখে থাকলে এই লিঙ্কে দেখতে পাবেন-  https://www.youtube.com/watch?v=7NvH_PCM04c  ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন ও নাগরিক সনদ সংগ্রহ করে এ নিয়োগ দেয়া হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময় মিছিলে অপেন ফায়ার ও রাতের আঁধারে ক্রসফায়ারের সাথে ভারতীয় বাহীনির প্রকাশ্য জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। জি, এখন সেনাবাহীনি। বিজ্ঞপ্তিটা দেখে মনে হচ্ছে, এটি শুধু ভারতীয় লোক (এবং নিশ্চয় হিন্দুদের) নিয়োগ দেয়ার জন্যই প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নাগরিক হওয়াসহ কোন প্রকারের ডকুমেন্টের দরকার নেই। শুধু অনলাইনে বা মোবাইল এসএমএস’ই যথেষ্ঠ। এটিই যে এভাবে প্...

যুক্তরাষ্ট্র আমাকে তাড়িয়ে দিলে কী হবে, আমার বাংলাদেশ তো আছে : মোহাম্মদ আলী

ছবি
কিংবদন্তি বিশ্ব বরেণ্য মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী প্রেসিডেন্ট জিয়ার আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে আসেন। তখনকার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আতিথিয়তা সংবর্ধনায় মুগ্ধ হয় বিখ্যাত মোহাম্মদ আলী বলেছিলেন, রূপময় বাংলাদেশের রূপ দর্শনে বিমোহিত আমি- ‘স্বর্গে যেতে চাইলে বাংলাদেশে ঘুরে আসুন!‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সাথে তিক্ততার জের ধরে তিনি বলেছিলেন- ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাকে তাড়িয়ে দিলে কী হয়েছে, বাংলাদেশ তো আছে!’ মোহাম্মদ আলী পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছুটে গিয়েছিলেন বক্সিয়ের টানে। তেমনি করে একদিন তিনি চলে এসেছিলেন এই বাংলার মাটিতে। ১৯৭৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীর বিখ্যাত বক্সার মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশে এসেছিলো রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমন্ত্রণে এবং তাকে বাংলাদেশের সম্মানসূচক নাগরিকত্বও দেওয়া হয়েছিলো। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই বিশ্ব বিখ্যাত বক্সারের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট। মোহাম্মদ আলী বলেছিলেন, ভিয়েতনামের মানুষের সঙ্গে আমার কোনো ঝগড়া নেই। শুধু সাদা চামড়ার মানুষের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য ১০ হাজার মাইল দূরের কোনো দেশে গিয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার করা, খুন করা, বোমা ফেলা এই কাজে আমি যুক্ত হব না। পৃথ...

পুলিশে নিয়গেই যেখানে দুর্নিতি ও অবক্ষয়। নিরাপত্তার প্রশ্ন আজ কোথায়??? কারা এই নিয়োগ প্রাপ্তরা?

ছবি
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পুলিশে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে গণহারে । যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তাদের কাউকেই চিনেন না সেই সব এলাকার স্থানীয় লোকজন। চেনেন না, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, এলাকার বয়স্করা লোকজন ।  এমনই একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট করছে যমুনা টিভি । সেখানে দেখা যাচ্ছে ঢাকার কয়েকটি উপজেলা যেমন দোহার, ধামরাই বেশ কিছু যুবক সম্প্রতি পুলিশে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু তারা ঐ এলাকার বাসিন্দা নন । এলাকার কেউই তাদের চিনেনও না । এমনকি তাদের দেয়া সব ঠিকানাই ভুয়া ।  টিভির রিপোর্টে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে এদের ভাষাও কেউ বুঝতে পারেননি । একই সময় পুলিশের চাকরীর জন্য লাইনে দাঁড়ানো এক যুবকের ভাষ্য মতে, সেই অপরিচিত ব্যক্তিদের আচরণ রহস্যজনক। এমনকি তারা ভালো ভাবে বাংলাও বলতে পারেন না ( ভিডিওর ৫ মিনিট থেকে দেখুন) !  তাহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন হচ্ছে, এরা কারা? পরিচয় গোপন করে এক জেলার লোকজন আরেক জেলার বলে পচিয়ন দিচ্ছে কেন? এভাবে কোন বাংলাদেশীর চাকরী নেয়ার দরকার হয়না । অসাধু পন্থায় নিয়োগ পেতে স্থানীয় ঠিকানাইবা ভুয়া দেখাতে হবে কেন?  তাহলে কি সাম্প্রতিককালে ব্যাপক হারে বিরোধী ...