আমাদের দৈনন্দিন কিছু সমস্যার বাস্তব সমাধানঃ ১/ আমি যখন বিষন্ন থাকি, কোরআন বলে.... "যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে।" [সুরা বাকারা: ২৫৭] ২/ আমি যখন হতাশায় থাকি, কোরআন বলে.... "আল্লাহর উপরই ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।" [সুরা মায়েদা: ২৩] ৩/ আমি যখন গুনাহ করি, কোরআন বলে.... তারা কখনও কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে কিংবা কোন মন্দ কাজে জড়িত হয়ে নিজের উপর জুলুম করে ফেললে আল্লাহকে স্মরণ করে, এবং নিজের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ্ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন? তারা নিজের কৃতকর্মের জন্য হঠকারিতা প্রদর্শন করে না এবং জেনে-শুনে তাই করতে থাকে না। [ সুরা ইমরান ৩:১৩৫ ] ৪/ আমি যখন ক্ষমা চাই! কোরআন বলে.... “তারা কি অবহিত নয় যে, আল্লাহ তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন! আর তিনিই সদকা গ্রহণ করেন এবং তিনি তাওবা কবুলকারী পরম দয়ালু।” [তওবাঃ৯:১০৪] ৫/ আমি যখন বিপদে পড়ি! কোরআন বলে.... "অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।" ...
নি র্বাচিত এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে বারবার ক্যু প্রচেষ্টাকারী নেপথ্য ব্যাক্তি ফেতুল্লা গুলেন। কিন্তু কে তিনি? কী তার পরিচয়? তুরস্কে কেন তিনি এতটাই বিতর্কিত ভূমিকায়? জানুন সব অজানা অধ্যায়! বাংলাদেশের প্রভাবশালী শিক্ষার্থী ম্যাগাজিন ছাত্রসংবাদে প্রকাশিত ‘ ছদ্মবেশী তুরস্কের ফেতুল্লা গুলেন জানা অজানা কিছু কথা ’ লেখাটি এই ব্লগের পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করা হল আজ। বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় আমি লক্ষ্য করেছিলাম মূলত না জানার কারণে ফেতুল্লা গুলেনকে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের একজন সেবক হিসেবেই সবাই মনে করতো। এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইসলামপন্থীদের ফেতুল্লা গুলেনের পলিসির আলোকে কাজ করার পরামর্শ দিতেও শুনেছি এবং তার পক্ষে অনেকে লেখালেখিও হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে প্রাথমিক জীবনে ইসলামের কারণে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী এই ব্যক্তিই সময়ের ব্যবধানে ইহুদি এবং পশ্চিমাদের এজেন্ট হিসেবে গোটা দুনিয়ায় মুসলমানদের স্বার্থের বিপরীতে কাজ করতে এতটুকুও দ্বিধা করেনি। ফেতুল্লা গুলেন ১৯৪১ সালের ২৭ এপ্রিল তুরস্কের এরজুরুম নামক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৫ সালে তিনি কুরআন শিক্ষা শুরু করেন। এরপর তিনি ১৯৪৬ সালে প্রাথমিক বিদ্...
রমজানের ভুল ধারণা - ১ [রোজা রেখে রক্তদান প্রসঙ্গে] রমজানের সময় মুসলিম নারী-পুরুষ সকলেই চায় আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন। একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার চেষ্টা করে তাদের চলা-ফেরা, আচার-ব্যবহার সহ জীবনের যে কোন পদক্ষেপে। সকলেরই আশা থাকে এই রহমতের মাস থেকে বাড়তি কিছু কামিয়ে নেয়া। তাই অনেক সময় অনেক স্বাভাবিক কাজের ব্যাপারেও সন্দেহ উঁকি দেয় মনে যে “রোজা রেখে এটা করা যায় কি?” তেমনই একটা সন্দেহ হচ্ছে “রোজা রেখে কি রক্তদান করা যায়?” এই নিয়ে আজকের লেখা... শুরুতেই ইসলামের একটা মৌলিক ও সাধারণ সূত্র বলি। তা হচ্ছে “যা নিষিদ্ধ, হারাম বা অবৈধ নয় তা-ই জায়েজ”। অর্থাৎ যুগের পরিক্রমায় এমন কোন ব্যাপার সামনে আসল যেটা সম্পর্কে ইসলামে সরাসরি কিছু বলা নাই আবার আপাত দৃষ্টিতে ব্যাপারটিকে মানবজাতির জন্য ক্ষতিকরও মনে হচ্ছে না তাহলে ধরে নেয়া যায় যে ব্যাপারটি জায়েজ হবে। যেমন বলতে পারি মোবাইল ফোন ব্যবহার করা। যদিও এর দ্বারা ক্ষতির আশংকা আছে বা এরও খারাপ দিক আছে তবে ব্যক্তি চাইলে খারাপটাকে এড়াতে পারেন। নবী (সাঃ) এর সময়ে রক্তদানের সুযোগ বা concept ছিল না। তাই এ ব্যাপারে সরাসরি কোন কোরআন-হাদীসে...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন